দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
একেরপর এক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা পর কিছুদিন বন্ধ ছিল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর বাজার এলাকার ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা। তবে আবারও কিছুদিন আগে থেকে তারা তাদের লাভজনক ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা চালু করেছে। জানা যায়, হরিনারায়নপুর বাজারে দুইটি ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা রয়েছে। একজন বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে ভেজাল গুড় তৈরি করছে। অপর জন তার মিলের পেছন দিকে ভেজাল গুড় তৈরি করছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এদের একাধিক সোর্স রয়েছে তাদের মাধ্যমে কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তার বা সাংবাদিকের গাড়ি দেখলেই তিনি বাহির থেকে তালা ঝুলিয়ে পালায়।
গতবছর ৮ জুলাই এখানকার কারখানায় অভিযান চালায় র্যাব-১২ সিপিসি-১। কারখানায় কেমিক্যাল, চিনি, ডালডা, গুড় মিশিয়ে অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশে তৈরী করছিলো ভেজালগুড়।
কারখানার পাশের একটি গোডাউনে গিয়ে তাদের চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা! গুড়ের কারখানায় চিনির গোডাউন! ১২৫ বস্তা চিনি, ১৫ বস্তা আটা ও ৩৪ কোলা গুড় একটি ঘুটঘুটে অন্ধকার কক্ষে রাখা হয়েছে! সেসব গুড়ের মধ্যে পোকা কিলবিল করছিলো। তখন সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪৩ ধারায় গুড়ের কারখানা মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালতের হাকিম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসাহাক আলী।
অন্য কারখানায় গিয়ে দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেমিক্যাল, চিনি, ডালডা, গুড় মিশিয়ে তৈরি করছে ভেজাল কুশুরের গুড়। সেখানে বসা ম্যানেজার জানান, ভাই অনেক দিন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। নতুন করে চালু করা হয়েছে। আপনারা নিউজ করবেন না। এটা আমার অনুরোধ।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খাদ্যে ভেজালকারি কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
Leave a Reply